Ticker

6/recent/ticker-posts

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় How to earn money from mobile

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় How to earn money from mobile

নমস্কার বন্ধুরা আপনাদের সকলকে Earn Money Online ক্যাটাগরির নতুন এই আর্টিকেলে স্বাগত জানাই।

বন্ধুরা আপনার কাছে একটা স্মার্টফোন রয়েছে আর আপনি চাইছেন আপনারাই স্মার্টফোন বা মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে অর্থাত মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে হয় কিভাবে সেটা জানতে চাইছেন।

তাহলে বন্ধুরা আপনাদের রিকোয়েস্ট করব এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য খুবই হেল্প ফুল রয়েছে কারণ আপনাদেরকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় কি রয়েছে বা কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় সবকিছু বিস্তারিতভাবে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বলতে চলেছি।

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় কি?

বন্ধুরা মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার কিন্তু অনেকগুলো উপায় রয়েছে এবং সেই উপায় গুলো কে কার্যকরী করার জন্য আপনার কাছে থাকা উচিত একটা স্মার্ট ফোন এবং তাতে ইন্টারনেট কানেকশন তাহলে আপনি চাইলে কিন্তু আজ থেকেই মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা শুরু করতে পারেন।

তাহলে চলুন বেশি দেরি না করে আমরা জেনে নেই যে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো বা মাধ্যম গুলো কি কি রয়েছে।


  1. ব্লগিং করে
  2. ইউটিউব ভিডিও তৈরী করে
  3. ফ্রিল্যান্সিং করে
  4. ফটো বা ভিডিও বিক্রি করে
  5. অনলাইন টিউশন করে
  6. ফেসবুক মার্কেটিং করে
  7. রিসেলিং ব্যবসা করে
  8. ইন্সটাগ্রাম পোস্ট করে
  9. টাকা ইনকাম করার অ্যাপস দিয়ে

উপরে দেওয়া প্রত্যেকটি উপায় কে আপনারা কিন্তু যদি ঠিকঠাক ভাবে কাজে লাগাতে পারেন তাহলে কিন্তু খুব সহজে মোবাইল দিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তাহলে চলুন বন্ধুরা এবারে আমরা প্রত্যেকটা বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই।


ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

বন্ধুরা ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার আগে ব্লগিং কি? ব্লগিং কিভাবে করে? সেটা আপনাদের জেনে নেওয়া উচিত।

ব্লগিং কিভাবে করে?

বন্ধুরা আপনাদের ব্লগিং সম্বন্ধে একটা হালকা ধারণা দেই। আপনারা যে আজকে আমার এই পোস্টটি পড়েছেন সেটা নিশ্চয়ই অটোমেটিক আপনার কাছে এসে পৌঁছায়নি। আপনারা Google এ সার্চ করেছেন এবং আমার পোস্টটা পেয়েছেন ক্লিক করেছেন। বন্ধুরা এখানে আপনাদের মনে একটা প্রশ্ন আসার কথা যে, এই পোস্টগুলো কে লিখেছে? এগুলো কি Google নিজে লিখেছে? না বন্ধুরা Google নিজে লেখেনি, এগুলো কোন না কোন ব্যাক্তি লিখেছে। যেমন আজকের এই পোস্ট টা আমি লিখেছি আর আমি হলাম ব্লগার এবং আমার এই পোষ্ট লিখে Google এ আপলোড করে পাবলিশ করা পর্যন্ত পুরো প্রসেস কে বলা হয় ব্লগিং।

তবে শুধু Google পোস্ট লিখে আপলোড করে দিলে কিন্তু হয় না। তার জন্য আপনাকে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে এবং ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আপনাকে একটা ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করতে হবে।

হোস্টিং ক্রয় করার জন্য কিছু অর্থ ব্যয় করতে হবে আপনি যদি অর্থ ব্যয় করতে না চান তাহলে অন্য কারোর ব্লগেও কাজ করতে পারেন এবং তাকে কিছু পোষ্ট লিখে দেওয়ার জন্য তার কাছ থেকে কিছু টাকা চার্জ করতে পারেন।

বন্ধুরা এখন আপনাদের মনে একটা প্রশ্ন আছে যে শুধু পোস্ট লিখে Google আপলোড করে দিলেই কি টাকা ইনকাম করা যাবে? না বন্ধুরা তার জন্য আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটে অবশ্যই Google এর তরফ থেকে Google Adsense এর অ্যাপ্রুভাল নিতে হবে। এর মানে হলো বন্ধুরা আপনার ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন ধরনের Ads Show করবে যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে গুগোল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রুভাল পেয়ে যাবেন এবং একটা সময় যখন আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর সংখ্যা বাড়তে থাকবে তখন আপনি দিনের-পর-দিন অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।



ইউটিউব ভিডিও তৈরী করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

বন্ধুরা নরমালি আপনার কাছে একটা স্মার্টফোন থাকলে আপনারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ভিডিও শুট করেন এবং সেগুলো কে বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন Facebook, Instagram এ শেয়ার করে ফেলেন।

কিন্তু বন্ধুরা এই ভিডিও শুট করার কাজকে যদি একটু আপডেট করে কাজে লাগাতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি খুব সহজে মোবাইলের মাধ্যমে অনেক মোটা টাকা ইনকাম করতে পারবেন।


ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায় কিভাবে?

হ্যাঁ বন্ধুরা আমি যার কথা বলছি সেটা হল YouTubeইউটিউব এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে হাজার হাজার ভিডিও প্রত্যেকদিন আপলোড হচ্ছে। আপনিও চাইলে আপলোড করতে পারবেন তবে আপনার ভিডিও যাতে দর্শক দেখতে ভাল বাসে সেরকম ভিডিও আপলোড করতে হবে এবং এর জন্য অবশ্যই আপনাকে একটা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে।

কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন মোবাইল দিয়ে সেটা যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই লিঙ্কে ক্লিক করে দেখতে পারেন।

এখন বন্ধুরা আপনার কাছে একটা ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে এখন আপনি জানতে চাইছেন যে কিভাবে ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায়। তার জন্য বন্ধুরা ইউটিউব এর তরফ থেকে একটা মনিটাইজেশন পলিসি রয়েছে।

আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে এক বছরের মধ্যে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম পুরনো করতে হবে এবং ১০০০ সাবস্ক্রাইবার সংগ্রহ করতে হবে এবং এর জন্য বন্ধুরা অবশ্যই আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কোয়ালিটি কন্টেন অর্থাৎ ভালো মানের ভিডিও আপলোড করতে হবে যাতে করে আপনার ভিডিওগুলো দর্শকরা বা সাবস্ক্রাইবাররা দেখতে ভালোবাসে।

এবং যখনই আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং ১০০০ সাবস্ক্রাইবার পূর্ণ হয়ে যাবে তখন কিন্তু ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন এবং আপনার ইউটিউব চ্যানেলের যদি সবকিছু তথ্য এবং ইউটিউব এর যা যা পলিসি রয়েছে সেগুলো যদি ভায়োলেট না করে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার মনিটাইজেশন অ্যাপ্রুভ হয়ে যাবে।

তখন কিন্তু আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে অ্যাড আসা শুরু করবে এবং এরপর থেকে কিন্তু আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং এই টাকার অ্যামাউন্টটা বাড়াতে পারবেন তখনই যখনই আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা এবং ভিউ সংখ্যা বাড়বে।

এছাড়া বন্ধুরা শুধু ইউটিউবে চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে নয় আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যখন সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা অনেক হয়ে যাবে, যখন আপনার ভিডিও গুলোতে অনেক সংখ্যক ভিউ আসবে তখন কিন্তু আপনি বিভিন্ন স্পনসর্শিপের মাধ্যমেও অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং এই ভাবে বন্ধুরা খুব সহজে আপনি আপনার মোবাইলের মাধ্যমে একটা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে বাড়িতে বসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।



ফ্রিল্যান্সিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

বন্ধুরা ফ্রিল্যান্সিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার আগে আগে আপনাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে যে ফ্রিল্যান্সিং কি। তাহলে চলুন আপনাদেরকে বলি ফ্রিল্যান্সিং আসলে কি।

বন্ধুরা আপনার একটা ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে কিন্তু ইউটিউব ভিডিওর জন্য যে থাম্বনেল তৈরি করতে হয় সেটা আপনি ঠিকঠাক ভাবে পারেন না। তাই বন্ধুরা অনলাইনে অনেকগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে কিন্তু অনেকে রয়েছে যারা আপনার থাম্বনেল তৈরি করে দিবে কিছু টাকার বিনিময়ে এবং এই সেই ব্যক্তি যে আপনার থাম্বলেন তৈরি করে দিবে তাকে ফ্রীলান্সার বলা হয় এবং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো প্রসেসকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়।

এখন আপনার মধ্যে যদি নিচে দেওয়া দক্ষতা গুলো থাকে যেমন:

  1. ইউটিউব থাম্বনেল তৈরি করা
  2. লোগো ডিজাইন করা
  3. গ্রাফিক ডিজাইন করা
  4. ফটো এডিট করা
  5. ভিডিও এডিট করা
  6. কনটেন্ট লেখা
  7. ট্রান্সলেশন করা
  8. ভয়েস ডাবিং করা
  9. ব্লগ কমেন্টিং করা
  10. প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন লেখা

তাহলে কিন্তু এরকম অনেকগুলো জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন:

  1. fiverr.com
  2. freelancer.in
  3. guru.com

এগুলো ব্যবহার করে আপনি অন্য কারোর কাজ অনলাইনে করে দিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে বন্ধুরা তার জন্য অবশ্যই আপনাকে ঐ সমস্ত ওয়েবসাইট গুলোতে একটা অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং তাদের যে সমস্ত এলিজিবিলিটি ক্রাইটেরিয়া রয়েছে সেগুলো ফিলাপ করতে হবে এবং অবশ্যই আপনার দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে যাতে করে আপনাকে যে কাজ দিবে সে যেন জানতে পারে যে এই ব্যাক্তির মধ্যে থাম্বনেল তৈরি করার দক্ষতা রয়েছে, লোগো ডিজাইন করার দক্ষতা রয়েছে, করার দক্ষতা রয়েছে।

এবং এইভাবে আপনারা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে চাইলে মোবাইলের মাধ্যমে লোগো ডিজাইন করে, মোবাইলের মাধ্যমে থামনেল তৈরি করে এবং আপনার মধ্যে আরও যা যা দক্ষতা রয়েছে সেগুলো আপনার মোবাইলের মাধ্যমে করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।



ফটো ও ভিডিও বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

বন্ধুরা এখনকার দিনের সবার হাতে প্রায় একটা করে স্মার্টফোন এবং সেই স্মার্ট ফোনের ক্যামেরার কোয়ালিটি খুব ভালো এবং আপনার স্মার্টফোনের ক্যামেরা কোয়ালিটি যেহেতু ভালো তাই আপনি বিভিন্ন ধরনের ফটোশুট করেন এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন।


কিন্তু বন্ধুরা এই কাজটাকে যদি একটু মনোযোগ দিয়ে করেন তাহলে কিন্তু খুব সহজেই আপনি আপনার স্মার্টফোন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলে বা বিভিন্ন ধরনের ভিডিও শুট করে খুব সহজে কিন্তু অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন আপনার তোলা ছবি বা ভিডিও গুলো বিক্রি করে।

বন্ধুরা আপনারা জেনে হয়তো অবাক হচ্ছেন, অবাক হওয়ার কিছু নেই। বন্ধুরা এরকম অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের ছবি বা ভিডিও কেনা এবং বেচা হয় যাদের লিস্ট নিচে দেওয়া হল:

  1. Shutterstock
  2. Adobestock
  3. Alamy.com
  4. Istockphoto.com
  5. Fotolia.com

অনলাইন টিউশন করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

বন্ধুরা সারাবিশ্বে করণা মহামারীর কারণে বিভিন্ন স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানিগুলো কিন্তু Work-From-Home এর ব্যবস্থা করেছে যাতে করে কোম্পানির কর্মচারীরা বাড়িতে বসে সমস্ত কাজকর্ম অনলাইনে করতে পারে এবং ঠিক একইভাবে স্কুল কলেজ গুলো বন্ধ হওয়ার কারণে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানোর জন্য কিন্তু অনলাইনে পড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং এই অনলাইনে পড়ানোর কাজটিকে যদি আপনি কাজে লাগাতে পারেন তাহলে কিন্তু অনেক টাকা মোবাইল এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

বন্ধুরা আপনি যদি একজন শিক্ষক হন তাহলে নরমালি হয়তো অনেক গুলো টিউশন করে কিছু টাকা ইনকাম করেন কিন্তু সেটা যদি অনলাইনে করতে পারেন তাহলে কিন্তু বাড়িতে বসে মোবাইলের মাধ্যমে আপনার ঐ সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পড়িয়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং এই জন্য কিছু জনপ্রিয় পল্টফর্ম রয়েছে যেগুলো তে জোয়েন করে আপনি অনলাইন টিউশন করতে পারেন যেমন:

  1. Byjus.com
  2. Unacademy.com
  3. Classplusapp.com

এছাড়াও ধরুন আপনার মধ্যে যদি কোন ডিজিটাল মার্কেটিং এর দক্ষতা থাকে তাহলে যারা ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিষয়ে কিছু জানতে চায় তাদেরকে আপনি অনলাইনে ক্লাস করিয়ে এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন কোর্স তৈরি করে বিক্রি করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।


ফেসবুক ই-কমার্স দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

বন্ধুরা একটা ব্যবসা শুরু করার জন্য কিন্তু অনেক কষ্ট করতে হয় আপনাকে প্রোডাক্ট ক্রয় করতে হয়, প্রোডাক্ট সেল করার জন্য অনেক বিজ্ঞাপন দিতে হয় তারপরে কাস্টমার আনতে হয় অনেক কিছু কাজ করতে হয়।


কিন্তু বন্ধুরা ফেসবুক এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে কিন্তু হাজার হাজার কোটি কোটি ইউজার রয়েছে এবং আপনি যেই জায়গায় আপনার প্রোডাক্ট সেল করতে চান ওই জায়গায় কিন্তু ফেসবুকের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে আপনার প্রডাক্ট কে ইউজারদের কাছে তুলে ধরতে পারবেন এবং যেহেতু এখনকার দিনের সবাই বাড়িতে বসেই কেনাকাটা করতে চায় তাই আপনি যদি এই চাহিদাটা কে কাজে লাগাতে চান তাহলে আপনাকে শুধু জাস্ট কোন প্রোডাক্ট একবার ক্রয় করতে হবে এবং এর পরেই এই ফেসবুক ই-কমার্স প্লাটফর্মই আপনার সমস্ত প্রোডাক্ট বিক্রি করার ব্যবস্থা করে দিবে তাদের কোটি কোটি ইউজার এর মাধ্যমে। তবে এর জন্য আপনাকে কিন্তু ফেসবুককে কিছু টাকা তার বিনিময় দিতে হবে।

কিছু টাকা না হয় ফেসবুককে দিলেন তো কি হয়েছে, আপনাকে কিন্তু কোন মার্কেটিং করার জন্য বাজারে বাজারে ঘুরতে হবে না, কাস্টমারদের কাছে যেতে হবে না, অনলাইনেই কিন্তু আপনি ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম ইউজ করে আপনার প্রোডাক্ট এর অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করে আপনি অনেক সংখ্যক ক্রেতা সংগ্রহ করতে পারবেন এবং এইভাবে কিন্তু আপনি অনেক টাকা আপনার বিজনেসের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।



ফেসবুক মনিটাইজেশন দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

বন্ধুরা আমরা আগেই জেনেছি যে ইউটিউবে কিভাবে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করা যায়। ঠিক একইভাবে ইউটিউব এর মতন ফেসবুকেও আপনি চাইলে ভিডিও আপলোড করে ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তাই বন্ধুরা ইউটিউব এর মতন ফেসবুকেও কিছু মনিটাইজেশন পলিসি রয়েছে যেগুলো যদি আপনারা ফলো করতে পারেন তাহলে কিন্তু ইউটিউব এর মত ফেসবুকেও ভিডিও আপলোড করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন

যেমন গত ৬০ দিনের মধ্যে ৬০০,০০০ মিনিট ওয়াচ টাইম সর্বনিম্ন ৫টি একটিভ ফেসবুক ভিডিও এবং আপনার পেজে থাকতে হবে ১০ হাজার ফলোয়ার।

এছাড়া বন্ধুরা আপনার যদি একটা ইউটিউবে চ্যানেল থাকে তাহলে আপনি কিন্তু এক্সট্রা বেনিফিট পেয়ে যাবেন কারণ ইউটিউব চ্যানেলের যে ভিডিওটা আপলোড করবেন ঠিক সেম ভিডিওটা কিন্তু আপনি ফেসবুক পেজে আপলোড করেও আপনি আপনার ফেসটা কে মনিটাইজ করতে পারবেন একটা সময় যখন ওপরে বলা রুলস গুলো আপনারা কমপ্লিট করতে পারবেন তখন কিন্তু আপনার ফেসবুক থেকে ইনকাম টা চালু হয়ে যাবে।

ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করা ছাড়াও ফেসবুকে কিন্তু আরো অনেকগুলো ইনকাম করার মাধ্যম রয়েছে যেমন ইন-স্ট্রিম এড, ফ্যান সাবস্ক্রিপশন, ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট ও সাবস্ক্রিপশন গ্রুপ ইত্যাদি ইত্যাদি।

এছাড়া বন্ধুরা ফেসবুকে যেহেতু ভিডিও শেয়ারিং এর মাধ্যমে ভিন্ন ধরনের ভিডিও গুলো কে সহজে ভাইরাল করা যায় সে ক্ষেত্রে আপনি যদি একটু সময় দিতে পারেন ফেসবুক পেজে তাহলে কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি আপনি আপনার ফেসবুক পেজকে মনিটাইজ করতে পারবেন এবং টাকা ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।


রিসেলিং ব্যবসা করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

বন্ধুরা রিসেলিং ব্যবসা করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার আগে আপনার জানা উচিত রেসলিং ব্যবসাটা আসলে কি? আপনি কোন একটা প্রোডাক্ট মার্কেট থেকে ৫০০ টাকায় কিনলেন এবং সেটা ৬০০ টাকায় বিক্রি করে দিলেন এর মানে হল আপনার লাভ হলো ১০০ টাকা এবং এই প্রসেস যদি আপনারা অনলাইনে করতে পারেন ধরুন আপনি অনলাইনে একটা শপ ওপেন করলেন এবং সেখানে ধরনের প্রোডাক্ট লিস্ট করলেন এবং প্রতিটি প্রোডাক্ট এর একটা নির্দিষ্ট রেট ঠিক করে দিলেন যেটা মার্কেট মূল্য থেকে কিছু টাকা বেশি।

এবং যখন কোনো ক্রেতা এসে আপনার যে কোন প্রোডাক্ট অর্ডার করবে তখন কিন্তু আপনি ওই প্রোডাক্টটি মার্কেট থেকে নিয়ে ডেলিভারি করে দিলেই কিন্তু কিছু টাকা ওখান থেকে আপনার লাভ হয়ে যাবে এবং এই প্রসেস কে বলা হয় রি সেলিং বিজনেস যেটা আপনি বাড়িতে বসে অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমে করতে পারবেন।

রিসেলিং ব্যবসার সুবিধা হলো, আপনাকে প্রোডাক্ট স্টোর করে রাখার পেছনে কোনো টাকা খরচ করতে হবেনা। শুধুমাত্র ফোন ব্যবহার করেই আপনি এই ব্যবসা করতে পারবেন ঘরে বসেই।


ইন্সটাগ্রাম থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়

ফেসবু, ইউটিউব এর মতো ইনস্টাগ্রামও হলো একটা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং এই ইনস্টাগ্রামে কিন্তু শুধু ফটো বা ভিডিও শেয়ারিং করা হয় না এখান থেকেও অনেক টাকা ইনকাম করা যায় তবে তার জন্য অবশ্যই আপনার একটা ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থাকা জরুরি।

শুধু প্রোফাইল থাকলে হবে না অবশ্যই আপনার প্রোফাইল কে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে এবং সেটা কিভাবে করবেন চলুন আপনাদেরকে বলি:

  • সর্বপ্রথম একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল বায়ো তৈরী করুন
  • নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট টপিক ধরে পোস্ট করুন
  • পোস্ট এর কোয়ালিটি বজায় রাখুন
  • একই ধরনের অন্য প্রোফাইলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করুন
  • ফলোয়ারদের সাথে এনগেজমেন্ট স্থাপন করুন

বন্ধুরা এতক্ষণ আপনারা জানলেন যে কিভাবে আপনি আপনার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল কে জনপ্রিয় করে তুলবেন, এবার আসি ইনস্টাগ্রাম থেকে টাকা ইনকাম করবেন কিভাবে। ইনস্টাগ্রাম থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য কিছু মাধ্যম নিচে দেওয়া হল:

  • টাকার বিনিময়ে অন্যের একাউন্ট প্রোমোট করে
  • স্পন্সরড পোস্ট করে
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
  • নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করে, ইত্যাদি

উপরে বলা সমস্ত কিছু করি আপনারা ঠিকঠাক ভাবে পালন করতে পারেন তাহলে কিন্তু অল্প দিনেই আপনার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল জনপ্রিয় করে তুলতে পারবেন এবং মোবাইলের মধ্যে বাড়িতে বসে ইনস্টাগ্রাম থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।


মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার অসংখ্য অ্যাপ থাকলেও খুব কম অ্যাপেই টাকা ইনকাম করা যায়। এসব অ্যাপ থেকে উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণ অর্থ আয় করা না গেলেও হাত খরচের টাকা তোলা সম্ভব। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার কিছু উল্লেখ্যোগ্য অ্যাপঃ

বন্ধুরা ওপরে বলা অ্যাপস গুলোর মাধ্যমে কিন্তু আপনারা চাইলে বাড়িতে বসে আপনার মোবাইলে রিচার্জ ডিটিএইচ রিচার্জ ইলেকট্রিক বিল পেমেন্ট এলআইসি প্রিমিয়াম দেওয়ার মত কাজগুলো করতে পারবেন এর জন্য কিন্তু আপনাকে কোন দোকানে গিয়ে বা সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে টাকা খরচ করতে হবে না এবংএই সমস্ত অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে আপনারা যদি রিচার্জ করেন বিল পেমেন্ট করেন তাহলে অনেক টাকা ক্যাশব্যাক হিসেবে পাবেন এবং যেই টাকাটা কিন্তু আপনার লভ্যাংশ হিসেবে থাকবে এবং এইভাবে কিন্তু অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে এই সমস্ত অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন এছাড়া প্রত্যেকটি হাফেজের ফল্লিং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন আপনারা অনেক টাকা রেফারেল বোনাস হিসাবে ইনকাম করতে পারবেন।


তাহলে বন্ধুরা আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে কিন্তু অনেকগুলো ভালো ভালো উপায় চাই সেগুলো ফলো করে কিন্তু আপনার মোবাইলের মাধ্যমে বাড়িতে বসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন কিভাবে সেটা জানিয়েছি যদি আপনাদের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে কিছু জানতে পারলেন কিছু শিখতে পারলেন বলে মনে হয় তাহলে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন যাতে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুবান্ধবরা এই তথ্যটা পেতে পারে এবং আপনাদের উপরে বলা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার মাধ্যম গুলোর মধ্যে কোনটা সবচেয়ে ভালো লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

তাহলে বন্ধুরা আজকের মত এখানেই আর্টিকেলটি শেষ হচ্ছে দেখা হচ্ছে পরবর্তী কোন এই ধরনের হেল্প আর্টিকেল এর সাথে ততক্ষণ আপনারা সুস্থ থাকুন সুরক্ষিত থাকুন ভালো থাকুন।


এগুলো পড়ুন:





Reactions

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ