Ticker

6/recent/ticker-posts

২০২৪ সালে এসে জানুন কারেন্ট কি? ভোল্টেজ কি? রেজিস্ট্যান্স কি? পাওয়ার কি?

২০২৪ সালে এসে জানুন কারেন্ট কি? ভোল্টেজ কি? রেজিস্ট্যান্স কি? পাওয়ার কি?What is cuurent, Voltage, Resistance, and Power?

বন্ধুরা ২০২৪ সালে এসে আমরা যারা ইলেকট্রিক্যাল ফিল্ড এর সাথে যুক্ত সর্বপ্রথম কারেন্ট কি? ভোল্টেজ কি? রেজিস্ট্যান্স কি? এবং পাওয়ার কি? সেটা জেনে নেওয়াটা খুবই জরুরী কারণ এগুলো ছাড়া আপনাদের ইলেকট্রিক ফিল্ডে আসা একদমই বেকার কারণ এগুলো আগে না জানলে আপনারা কোন কিছুই সঠিকভাবে জানতে পারবেন না।

তাই আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমি বীরেন্দ্র আপনাদের সবকিছুুুু বিস্তারিত ভাবে জানাবো ।

কারেন্ট কি? ভোল্টেজ কি? রেজিস্ট্যান্স কি? এবং পাওয়ার কি?

  • কারেন্ট কাকে বলে?

বন্ধুরা আমরা বাড়িতে যে কারেন্ট ব্যবহার করি সেটা কোনো না কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে আমাদের বাড়িতে আসে,এখানে পরিবাহী বলতে তার বা কেবিল এর কথা বলছি, অর্থাৎ পরিবাহীর যেকোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে মুক্ত ইলেকট্রন বা তড়িৎ আধান সমূহের প্রবাহিত হওয়াকে কারেন্ট বলা হয়।


  • কারেন্ট কি? এবং কারেন্ট এর কাজ কি?

একটা উদাহরন দিয়ে বোঝালে কারেন্ট কি বা কারেন্ট এর কাজ কি সেটা ভালো করে বুঝতে পারবেন,ধরুন একটা জল ট্যাংকিতে জল আছে আর সেটা একটা পাইপের মাধ্যমে নিচে এসে পড়ছে।

এখানে জল হলো কারেন্ট বা মুক্ত ইলেকট্রন বা তড়িৎ আধান আর পাইপটা হলো পরিবাহী বা কন্ডাক্টর বা তার।তাহলে বন্ধুরা কারেন্ট কি এবং কারেন্ট এর কাজ কি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন।


  • কারেন্ট কথার অর্থ কি?

সংক্ষেপে বলতে গেলে কারেন্ট কথার অর্থ হলো Flow of free Electrons(Charges) in a conductor অর্থাৎ কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে মুক্ত ইলেকট্রন বা চার্জ সমূহের প্রবাহিত বা চলাচল হওয়াকে কারেন্ট বলে।


সহজ ভাষায় ইলেকট্রিক চার্জের প্রবাহকেই কারেন্ট বলে অর্থাৎ কন্ডাক্টর বা পরিবাহী মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনের প্রবাহই হলো কারেন্ট।


মনে রাখবেন বন্ধুরা, কারেন্ট যে দিকে প্রবাহিত হয় ইলেকট্রন বা তড়িৎ আধান বা চার্জ তার বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয়।
কারেন্ট কে আমরা I চিহ্নিত করি।


কারেন্টের একক হল এম্পিয়ার(A) বা কুলম্ব / সেকেন্ড


এম্পিয়ার কে আমরা দিয়ে চিহ্নিত করি। আর কুলম্ব(Q) হল চার্জের একক যেটাকে C দিয়ে চিহ্নিত করা হয়।
বন্ধুরা এখন জেনে নেই,


  • এম্পিয়ার কাকে কাকে বলে?

কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে এক কুলম্ব চার্জ এক সেকেন্ড সময় ধরে প্রবাহিত হলে ঐ পরিমান চার্জকে ১ এম্পিয়ার বলে


এম্পিয়ার আমরা এম্মিটার দিয়ে পরিমাপ করি, তাই বন্ধুরা এখন জেনে নেই


  • এম্পিয়ার কিভাবে পরিমাপ করা হয়?

এম্পিয়ার সাধারণত মাপা হয় এম্মিটার বা এম্পিয়ার মিটার দিয়ে এবং এটি লোডের সাথে সিরিজে কানেক্ট থাকা অবস্থায় পরিমাপ করা হয়। বন্ধুরা নিচে একটি ছবির মাধ্যমে বুঝতে পারছেন যে এম্পিয়ার কিভাবে পরিমাপ করা হয়


  • কারেন্ট কত প্রকার ও কি কি?

কারেন্ট দুই প্রকারের হয়
1. অল্টারনেটিং কারেন্ট বা এসি কারেন্ট(Alternating Current)
2. ডাইরেক্ট কারেন্ট বা ডিসি কারেন্ট(Direct Current)


  • অল্টারনেটিং কারেন্ট কাকে বলে?

অল্টারনেটিং কারেন্ট বা এসি কারেন্ট বলতে সেই ধরনের তড়িৎ প্রবাহকে বোঝানো হয় যে তড়িৎ প্রবাহের দিক একটি নির্দিষ্ট পর্যায় পর পর বিপরীতগামী হয়,অর্থাৎ প্রবাহিত হওয়ার দিক পরিবর্তন করে।


  • অল্টারনেটিং কারেন্ট কি?

অল্টারনেটিং কারেন্ট এর ক্ষেত্রে পর্যায়কালের অর্ধেক সময়, তড়িৎ যেদিকে প্রবাহিত হয় বাকি অর্ধেক সময় ঠিক তার বিপরিত দিকে প্রবাহিত হয়।


  • এসি কারেন্ট কাকে বলে?

এছাড়াও বন্ধুরা নিচের একটা ছবিতে অল্টারনেটিং কারেন্ট এর সাইকেল (নীল রঙের) দেখতে পাচ্ছেন যেখানে ফার্স্ট হাফ সাইকেল একটা দিকে এবং পরবর্তী হাফ সাইকেল অন্য দিকে যাচ্ছে।


তাহলে বন্ধুরা অল্টারনেটিং কারেন্ট কাকে বলে? বা অল্টারনেটিং কারেন্ট কি? বা এসি কারেন্ট কাকে বলে? নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন।


  • ডাইরেক্ট কারেন্ট বা ডিসি কারেন্ট (Direct Current) কি?

ডাইরেক্ট কারেন্ট (DC) ডিসি কারেন্ট বলতে সেই ধরনের তড়িৎ প্রবাহকে বোঝায়,যে তড়িৎ প্রবাহ কোনো দিক পরিবর্তন করেনা কেবল একটি নির্দিষ্ট দিকেই প্রবাহিত হতে থাকে।
এছাড়া বন্ধুরা উপরের একটা ছবির মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছেন যেখানে একটি স্ট্রেট লাইন রয়েছে এবং ওই স্ট্রেট লাইন টি হলো ডিসি কারেন্টের একটি ওয়েব ফ্রম তাহলে বন্ধুরা ডাইরেক্ট কারেন্ট বা ডিসি কারেন্ট কি আশা করি আপনাদেরকে বোঝাতে পেরেছি।


  • এসি এবং ডিসি কারেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি?

1.AC current এর ক্ষেত্রে ইলেকট্রনের প্রবাহ নির্দিষ্ট সময় অন্তর দিক পরিবর্তন করে কিন্তু DC current এর ক্ষেত্রে ইলেকট্রনের প্রবাহ একই দিকে হয়।


2.AC current কে সহজে long distance এ পরিবহণ করা যায় কারণ এক্ষেত্রে লস খুব কম হয় কিন্তু DC এর ক্ষেত্রে লস বেশি হওয়ার জন্য long distance পরিবহণ করা যায় না।


3.AC current এর ফ্রিকোয়েন্সি সাধারণত 50 Hz হয় কিন্তু DC current এর ক্ষেত্রে ফ্রেকোয়েন্সি জিরো হয়।


4.AC current কে আমরা ধরে রাখতে পারিনা কিন্তু DC current কে আমরা ব্যাটারি তে ধরে রাখতে পারি।


5.AC current কে আমরা জেনারেটর থেকে পেয়ে থাকি কিন্তু DC current কে আমরা ব্যাটারি থেকে পাই।


6.AC current এর waveform সাইনওয়েভ হয় কিন্ত DC current এর waveform straight line আকারে হয়।


  • ভোল্টেজ কাকে বলে?

ভোল্টেজ হল এক ধরনের বৈদ্যুতিক চাপ বা প্রেসার যেটা পরিবাহীর অভ্যন্তরীণ থাকা ইলেকট্রন(-)সমূহকে স্থানচ্যুত করতে সাহায্য করে।

এক কথায় পরিবাহীর অভ্যন্তরীণ থাকা ইলেকট্রন(-)সমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে ফোর্স বা চাপের প্রয়োজন হয় তাকে ভোল্টেজ বলে।


  • ভোল্ট কাকে বলে?

ভোল্টেজের একক হলো ভোল্ট (Volt) এবং এটা কে আমরা V দিয়ে চিহ্নিত করি।


  • ভোল্টেজ পরিমাপ করে কিভাবে?

ভোল্টেজ সাধারণত পরিমাপ করা হয় ভোল্টমিটার দিয়ে। ভোল্টমিটারের দুটি প্রান্ত কে বৈদ্যুতিক সোর্সের সাথে প্যারালালে সংযুক্ত করে ভোল্টেজ পরিমাপ করা হয়। ভোল্টেজ পরিমাপ করে কিভাবে ওটা বোঝার সুবিধার্থে আপনাদের জন্য নিচে একটা চিত্র দিলাম যেখান থেকে আপনারা খুব সহজেই ভোল্টেজ পরিমাপ করার পদ্ধতি বুঝতে পারবেন।


  • পাওয়ার কাকে বলে?

একটি সার্কিটের মধ্যে দিয়ে যে হারে ইলেকট্রন প্রবাহিত হয়ে কাজ সম্পন্ন করে তাকে ইলেকট্রিক পাওয়ার বলে। পাওয়ার সাধারণত P দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
পাওয়ারের SI একক হলো ওয়াট (w), ইলেকট্রিক পাওয়ার পরিমাপ করা হয় ওয়াট মিটার দিয়ে।


  • ওয়াট কাকে বলে?

যেকোন যন্ত্রের চলার জন্য শক্তির প্রয়োজন হয়। কোন লোড নির্দিষ্ট সময়ে যতটুকু শক্তি খরচ করে কোন কাজ সম্পন্ন করে সেই হিসাবকেই ওয়াট বলে
এক কথায়,যে ক্ষমতায় প্রতি সেকেন্ডে এক জুল পরিমান কাজ সম্পন্ন হয় তাকে ওয়াট বলে।


  • ওয়াট কিভাবে মাপা হয়?

ওয়াট পরিমাপ করার জন্য সাধারণত ওয়াট মিটার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।


  • এনার্জি বা শক্তি কাকে বলে?

বৈদ্যুতিক ক্ষমতা বা পাওয়ার একটি সার্কিটে যতক্ষন কাজ করে, পাওয়ারের সাথে উক্ত সময়ের গুনফলকে বৈদ্যুতিক শক্তি বা এনার্জি বলেএনার্জি একক সাধারণত watt-hour বা Kilowatt-hour হয়।


এনার্জি মিটারের সাহায্যে সাধারণত এনার্জি পরিমাপ করা যায়।

  • রেজিস্ট্যান্স কাকে বলে?

বন্ধুরা রেজিস্ট্যান্স কথার অর্থ হলো এক কথায় বাধা। বন্ধুরা আমরা যখন কোন কাজ করি বা আমরা যখন রাস্তা দিয়ে যাই তখন রাস্তায় যেতে যেতে বহুরকম বাধার সম্মুখীন হই ওই বাধাগুলি এককথায় হল রেজিস্ট্যান্স


ঠিক একইভাবে ভালো করে বলতে গেলে,
যখন কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হয় এবং প্রবাহিত হওয়ার সময় পরিবাহী পদার্থের কিছু ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যের জন্য কারেন্ট প্রবাহিত হতে বাধাপ্রাপ্ত হয় তাকে রোদ বা Resistance বলে।


রেজিস্ট্যান্স কে R দিয়ে চিহ্নিত করি এবং যার একক হল ওহম
বন্ধুরা আমরা জানি কি, কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে যখন ফ্রী ইলেকট্রন প্রবাহিত হয় তখন তাদের কারেন্ট বলে,যার একক হলো এম্পিয়ার

তাহলে বন্ধুরা কারেন্টের কাজ কি ভোল্টেজ এর কাজ কি এবং রেজিস্ট্যান এর কাজ কি সেটা নিশ্চয়ই পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন।

বন্ধুরা আপনাদের যদি কারেন্ট কি ভোল্টেজ কি রেজিস্টেন্স কি পাওয়ার কি পোস্টটি পড়ে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন যারা জানতে চায় কারেন্ট কাকে বলে ভোল্টেজ কাকে বলে রেজিস্ট্যান্স কাকে বলে পাওয়ার কাকে বলে এবং পারলে বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ায় ও শেয়ার করবেন।

এবং এই পোস্ট সম্বন্ধে যদি আপনাদের মনে এখনো কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আমি আপনাদের কমেন্টের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

বন্ধুরা এখানেই আমার পোষ্টটি শেষ হচ্ছে দেখা হচ্ছে পরবর্তী কোন নতুন একটা পোস্টের সাথে,ততক্ষণ আপনারা সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন সুরক্ষিত থাকুন।


এগুলো পড়ুন:

Reactions

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ